আলোর সিঁড়ি সেবা সংগঠন
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার সামগ্রিক আলোচনায় এটা প্রতীয়মান, দেশের সমাজ কাঠামো আমূল পরিবর্তনে সামাজিক সংগঠনের বিকল্প নেই। সুশিক্ষিত নবীন প্রজন্ম এবং আধুনিক সমাজ বিনির্মাণের স্বার্থে স্বাধীনতার পর থেকে রাষ্ট্রীয় যতগুলো উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তার অনেকগুলোই গ্রামবাংলার ক্ষেত্রে তেমন সফলতার ছাপ রাখতে পারেনি । ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর তরুণসমাজ অবক্ষয়ের পথে ধাবিত । এ অবস্থায় সচেতন ছাত্ররা গড়ে তুলেছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, যার মূল লক্ষ্য বিপথগামী তরুণদের স্কুলমুখী রক্ত দান, বাল্যবিয়ে রোধ, সামাজিক কুসংস্কার রুখে বৃক্ষরোপণ করা, উচ্চশিক্ষার প্রতি তরুণদের আগ্রহ বাড়ানো ইত্যাদি । গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের জন্য এসব স্বপ্রণোদিত সামাজিক কার্যক্রম নিয়েই আলোর সিঁড়ি সেবা সংগঠন । এই সংগঠনের কর্মীরা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের উৎসাহ দেয়ার পাশাপাশি দেশপ্রেম, রাষ্ট্র, গঠন করাই এই সংগঠনের মুখ্য উদ্দেশ্যে । আলোর সিঁড়ি সেবা সংগঠন কাজ করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার অজপাড়াগাঁয়ের তরুণ যুবকদের নিয়ে যারা নিজের মেধা, শ্রম, সময় এবং রক্ত দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর অঙ্গীকারে প্রতিজ্ঞা বদ্ধ ৷
Contents
বর্তমান কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
সভাপতিঃ সানিউর রহমান সাধারণ সম্পাদকঃ মেহেদী হাসান সাংগঠনিক সম্পাদকঃ তুষার চৌধুরী
ইউনিয়ন কমিটি নেতৃত্ব
পাহাড়পুর ইউনিয়ন :
সভাপতিঃ রনি আহমেদ সাধারণ সম্পাদকঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংগঠনিক সম্পাদকঃ জুনাইদ আল হাসান
বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন :
সভাপতিঃ তকির আহমেদ সাধারণ সম্পাদকঃ শাহনেওয়াজ শাহ
সিংগারবিল ইউনিয়ন :
সভাপতিঃ অর্ণব ভূইয়া সাধারণ সম্পাদকঃ তুষার চৌধুরী সাংগঠনিক সম্পাদকঃ মো: এনামুল হাসান
সাংগঠনিক গঠনতন্ত্র
ধারা ১ঃ সংগঠনের নামঃ Alor Shiri Seba Sangathan (আলোর সিঁড়ি সেবা সংগঠন)
ধারা ৩ঃ ঠিকানা (অস্থায়ী) - বিজয়নগর উপজেলা।
ধারা ৪ সংগঠনের প্রতিপাদ্য বিষয়:- মানবতা যেই দিকে নিম্নগামী, আমার সেই দিকে উর্ধগামী।
ধারা ৫ঃ সংগঠনের শ্লোগান আসবে সময়, বাজবে ঘড়ি উঠবো বেয়ে, আলোর সিঁড়ি।
ধারা ৬ঃ কার্য এলাকা: এই প্রতিষ্ঠানের কার্যএলাকা প্রাথমিক ভাবে বিজয়নগর উপজেলায় সীমাবদ্ধ থাকবে।
ধারা ৭ঃ সংগঠনের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য : প্রতিষ্ঠানটি একটি মানবিক ও সামাজ সেবা মূলক সংগঠন হিসাবে দেশ ও সমাজ উন্নয়নে কাজ করবে । প্রতিষ্ঠানটি সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও উন্নয়নসহ বহুমুখী কর্মকান্ডে সকল ধরনের সহযোগীতা মূলক কর্মসূচী গ্রহণ করবে। সমাজ উন্নয়নে বৃহত্তর জনগণষ্ঠির ব্যাপক অংশগ্রহণের ভিত্তিতে এলাকার তথা সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করায় প্রতিষ্ঠানটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ৷ (সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমণাদনক্রমে)
ধারা ৮ঃ সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ- মানবতার সেবা দেওয়া ও সমাজের উন্নয়নে কাজ করা।
ধারা ৯ঃ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা : স্বেচ্ছাসেবক হতে হবে,
ক) নুন্যতম ১৫ (পনের) বছর বয়স এবং (সর্বনিম্ন) জে এস সি। খ) উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। গ) সুস্থ্য মস্তিস্কের অধিকারী হতে হবে (পাগল ও উম্মাদ নহে) ।
ধারা ১১ঃ সদস্য ভর্তির নিয়মাবলী
ক) সংগঠনের কর্তৃক নির্ধারিত আবেদন ফরমের মাধ্যমে সভাপতি , সাধারণ সম্পাদক বরাবর আবেদন করতে হবে। (সদস্য ফর্ম ডাউনলোড করুন)
ধারা ১২ঃ সংগঠনের ব্যবস্থাপনার জন্য সাংগঠনিক কাঠামো হলো কার্যনির্বাহী পরিষদঃ-
ক) কার্যনির্বাহী পরিষদ : প্রতিষ্ঠাতা আজীবন সভাপতি হয়ে প্রতিবার পরিষদের মেয়াদ ১ বছরের জন্য একটি ২৭ (সদস্য) বিশিষ্ট কার্য্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন করবেন। কার্যযনির্বাহী পরিষদের সদস্য সংখ্যা ২৭ জন অবশ্যই নিম্নলিখিত কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত হবে-
সভাপতি সহ-সভাপতি সহ-সভাপতি-২ সহ-সভাপতি-৩ সহ-সভাপতি-৪ সহ-সভাপতি-৫ সাধারণ সম্পাদক সহ সাধারণ সম্পাদক অর্থ সম্পাদক সাংগঠনিক সম্পাদক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক দপ্তর সম্পাদক রক্ত সম্পাদক সহ রক্ত সম্পাদক সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সাহিত্য ও গ্রন্থাগার বিষয়ক সম্পাদক শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক শিশু ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক
সাধারণ কার্যকরি সদস্য ৮ জন সহ-সর্বমোট ৩১ সদস্য নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হবে। তবে সংগঠনের প্রয়োজনে সম্পাদক মন্ডলী সংখ্যা বৃদ্ধি করা যাবে।
ধারা ১৩ঃ তহবিল দাতা সদস্যদের বার্ষিক এককালীন অনুদান, উপদেষ্টা মন্ডলির মাসিক চাঁদা, কমিটির সদস্যদের চাঁদা, ও গণসংগ্রহের ভিত্তিতে তহবিল গঠিত হবে।
ধারা ১৪ঃ সংশোধনী কর্মসূচি ও গঠনতন্ত্রের যেকোন সংশোধনী কাউন্সিলের দুই-তৃতীয়াংশ কাউন্সিলরের সম্মতির ভিত্তিতে অনুমোদিত হবে।
ধারা ১৫ঃ প্রথা যে সকল বিষয়ে গঠনতন্ত্রে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় নাই সেই বিষয়ে প্রচলিত বিধান বা নীতি সমূহ অনুসরণ করা যাবে।
শপথ
আমি শপথ করছি যে, আলোর সিঁড়ি সেবা সংগঠন এর সদস্য হিসেবে মানবসেবার নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রাখিব। নিজে মাদক থেকে দূরে থাকব এবং অন্যকে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন করব। নিজে সুশিক্ষিত হবো , অন্যকে শিক্ষা গ্রহণে সহযোগীতা করব এবং পরস্পরের সাথে আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলব। আমি সদস্যদের মধ্যে একতা ও সংহতি বজায় রাখর, আলোর সিঁড়ির গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত সকল ধারা মেনে চলব । সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী এবং সংগঠনের সুনাম ক্ষুন্ন হয় এমন কোন কাজ করব না। হে আল্লাহ্ আমাকে শক্তি দিন আমি যেন, মানবতার প্রকৃত সেবক হয়ে নিজেকে গড়ে তুলতে পারি। মানবতা যেদিকে নিম্ন সেইখানে উর্ধ্ব হয়ে কাজ করে সুন্দর শিক্ষিত ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন করতে পারি। আমিন।
উদ্দেশ্যে ও পরিকল্পনা
আলোর সিঁড়ি সেবা সংগঠনের মুল লক্ষ্য বিপথগামী তরুণদের স্কুলমুখী রক্ত দান, বাল্যবিয়ে রোধ, সামাজিক কুসংস্কার রুখে বৃক্ষরোপণ করা, উচ্চশিক্ষার প্রতি তরুণদের আগ্রহ বাড়ানো ইত্যাদি। গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের জন্য এসব স্বপ্রণোদিত সামাজিক কার্যক্রম নিয়েই আলোর সিঁড়ি সেবা সংগঠন । এই সংগঠনের কর্মীরা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের উৎসাহ দেয়ার পাশাপাশি দেশপ্রেম, রাষ্ট্র, গঠন করাই এই সংগঠনের মুখ্য উদ্দেশ্যে ।
তথ্যসূত্র
- মাদক বিরোধী আলোচনা সভা,অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা – ২০২০
- আলোর সিঁড়ি সেবা সংগঠনের উদ্যোগে বিজয়নগরের পাহাড়পুর ইউনিয়নে বিনামূল্যে দাঁতের চিকিৎসা ও রক্তপরীক্ষা
- আলোর সিঁড়ি সেবা সংগঠনের বিনামূল্যে রক্তদান কর্মসূচী, সিঙ্গারবিল বাজার
- রক্তদানে অগ্রণী ভূমিকা রাখার জন্য আলোর সিঁড়ি সেবা সংগঠনকে সম্মাননা- ২০২২
Category: সামাজিক সংগঠন