Ali Mohammad

From WikiAlpha
Jump to: navigation, search
Ali Mohammad Ponishare-verified.png
Native name Md.Nazrul Islam
Born Ali Mohammad
20/October/1985
Kushtia District
Residence Kushtia District
Nationality Bangladesh
Education
  • মাজিহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়
  • ঢাকা আইডিয়াল কলেজ
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
Occupation শিক্ষকতা ও লেখক
Years active 2019-Present
Employer শিক্ষকতা ও লেখক
Agent 20
Known for শিক্ষকতা ও লেখক
Home town Kushtia District , Bangladesh
Net worth N/A
Height 5 fit 6 inch
Television None
Title Name
 Ali Mohammad Ponishare-verified.png


বংশ পরিচয়

মোঃ নজরুল ইসলাম ছদ্মনাম আলী মুহাম্মাদ ১৯৮৫ সালের ২০ শে অক্টোম্বর বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার মাজিহাট গ্রামের সম্ভ্রান্ত পাঠানবাড়ী “সাত ভাই পাড়ায়” জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মোঃ আমোদ আলী ইবনে আরশাদ এবং মাতার নাম মোছাঃ রোমেলা বেগম বিনতে আব্বাস।

শিক্ষা জীবন

তিনি স্বীয় গ্রামের পাঠশালা ‘মাজিহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে (S.S.C.) এবং ২০০২ সালে ঢাকা আইডিয়াল কলেজ থেকে (H.S.C)” পরীক্ষায় কৃতিত্বের সহিত প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে B. Sc (Hon’s) in Computer Science-এ অধ্যয়ন সম্পন্ন করে কর্মজীবন শুরু করেন।

কর্ম জীবন

জীবনে তাঁর প্রথম কর্মজীবন শুরু হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে (IT Officer) হিসেবে। সেখানে প্রায় দশ বছর কর্ম ব্যস্ত জীবন অতিবাহিত করার পরে পরবর্তীতে তিনি (NTRCA)-এর আওতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে (ICT) প্রভাষক পদে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি এ মহান পেশাতেই নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন।

বৈবাহিক জীবন

তিনি ২০২০ সালের ১০ ই জুন তাঁর চাচাত বোন বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক ল্যান্স নায়েক আবু তাহের (অবঃ) ইবনে মোমরাজের একমাত্র কন্যা মোছাঃ তাসলিমা খাতুন শিল্পীকে বিবাহ করেন। বর্তমানেও তাঁদের সুখী দাম্পত্য জীবন বহাল তবিয়তে টিকে আছে।

সাহিত্য জীবন

কৈশোর কালঃ তিনি কৈশোরকাল থেকেই সাহিত্য চর্চার দিকে ঝুঁকে পড়েন। তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যয়নকালেই তিনি প্রথম ছড়া লেখেন,

“ইচ্ছা,ইচ্ছা,ইচ্ছা,

বই পড়া মোর ইচ্ছা,

বই পড়লে জানা যায়,

হরেক রকম কিসসা,

ইচ্ছা,ইচ্ছা,ইচ্ছা,

বই পড়া মোর ইচ্ছা”।


এরপর অষ্টম শ্রণীতে পড়াকালীন তিনি লেখেন,

“সর্বযুগে,সর্বগুণে শ্রেষ্ঠ ছিলেন মোদের নবী,

রুপ-গুণের পূর্ণতায় তিনি ধরায় ধ্যানের ছবি,

তাঁর ন্যায় চরিত্রবান পাবে না আর ধরার কোথাও,

তাঁর নূরের রৌশনীতে জমাট আঁধার হলো উদাও”।

এছাড়া তিনি অবিস্মরণীয় স্বরচিত হৃদয় বিদারক একটি কবিতা আবৃত্তি করেন এস,এস,সি, পরীক্ষার্থী হিসেবে বিদায় অনুষ্ঠানে।


যৌবনকাল

তিনি ২০০৪ সালের জানুয়ারী থেকে নিয়মিতভাবে লেখালেখির দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং বর্তমান অবধি তা অব্যাহত রেখেছেন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত তাঁর লেখা গ্রন্থের সংখ্যা ১০০ টির মত। এর মধ্যে ২৫ টি বই ইতোমধ্যে প্রকাশিতও হয়েছে। সর্বপ্রথম তাঁর “যৌবন” নামক একটি রোমান্টিক কাব্য প্রকাশিত হয় ২০০৬ সালের একুশে বইমেলায় আমীর প্রকাশনী থেকে। এছাড়াও তাঁর আরও চারটি রোমান্টিক কাব্য রয়েছে যেগুলোর নাম “ভালবাসা,রুপ মাধুর্য্য,ইন্দ্রলীলা ও কবিতা”। উল্লেখ্য, এরই মধ্যে ২০০৭-২০১০ সাল পর্যন্ত “কোরআনের আলোকে খেলাফত,নাসেখ-মানসূখ,কারবালার সূত্রপাত,প্রকৃত ইসলাম,আদম-হাওয়ার গন্দম রহস্য” নামক পাঁচটি গবেষণাধর্মী গ্রন্থও তাঁর প্রকাশিত হয়।

এরপর ২০১০ সালের একুশে বইমেলায় তাঁর প্রথম সনেট কাব্য “মহামানব” প্রকাশিত হয়। তাঁর এ পর্যন্ত রচিত আধুনিক সনেট কবিতার সংখ্যা ২১৪ টি যা সংখ্যায় খুব একটা কম নয় যেখানে বাংলা সাহিত্যে সনেট কবিতার প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্তের সনেট কবিতার সংখ্যা ১০৬ টি এবং ইংল্যান্ডের শেক্সপিয়ারের সনেট কবিতার সংখ্যা ১৫৬ টি। তাঁর আরও তিনটি সনেট কাব্যের নাম “জ্ঞানভান্ডার,গুপ্ত রহস্য,শ্বাশত সত্য”। উল্লেখ্য, এ সালেরই এপ্রিল মাসে তাঁর সনেট মহাকাব্য “ভোট”ও প্রকাশিত হয় যা সনেট কবিতার আদলে সৃষ্ট এক ব্যতিক্রমধর্মী মহাকাব্য। এ মহাকাব্যে সনেটের ন্যায় অষ্টকের স্থলে অষ্টশতকে কখকখ বা কখখক এবং ষষ্ঠকের স্থলে ষষ্ঠশতকে গগ,ঘঘ,ঙঙ বা গগঘ,গগঘ ইত্যাদি মিলবিন্যাস ঠিক রেখে মোট চৌদ্দ লাইনের স্থলে চৌদ্দশত লাইন লিখে এক পর্বের মধ্যে দু’টি সর্গ টেনে পাঁচ পর্বে ও দশ সর্গে সর্বমোট সাত হাজার লাইনে মহাকাব্যটি সমাপ্ত করেছেন তিনি যেখানে প্রতিটি লাইনেই চৌদ্দটি করে অক্ষর আছে। এতে অষ্টশতকে রয়েছে ভাবের সম্প্রসারণ এবং ষষ্ঠশতকে রয়েছে ভাবের পরিণতি। এক কথায় বলতে গেলে বলতে হয়, এটিকে বিশ্বের একমাত্র সনেট মহাকাব্য বললেও ভুল হবে না আদৌ।

এছাড়া তাঁর রয়েছে দু’টি শিশু কাব্য,”আকাশ সাজে মেঘের রঙে এবং এসো ছন্দে ছন্দে বর্ণ চিনি” নামে। আর একটি প্রহসন কাব্যও রয়েছে “দাপাদাপি” নামে। তাঁর ২০১১-২০১৬ সাল পর্যন্ত আরও কিছু গবেষণা ও মৌলিক সংকলনগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে “সত্য ধর্ম দর্শন” নামক একটি গ্রন্থের মলাটে “উসূলে দ্বীন,ফুরুয়ে দ্বীনসহ নিয়্যাত দর্শন” শিরোনামে আরও চারটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। বিশেষ করে, ২০১৫ সালের বইমেলায় তাঁর “আল কোরআনের নির্যাস” শিরোনামে একটি মৌলিক সংকলনগ্রন্থও প্রকাশিত হয়। এছাড়া হযরত সোলায়মান (আঃ)-এর ৩০০টি হাদিসসহ ইমাম আলী ইবনে ইমরান (আঃ)-এর ৩১৩ টি বাণী ও হযরত আদম (আঃ) থেকে ঈসা (আঃ) পর্যন্ত ২৭ জন নবীর ১০ টি করে হাদিস সংকলনের গ্রন্থটিও প্রকাশিত হয়। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর আহলে বাইতের চৌদ্দ মাসূমীনের চৌদ্দটি করে বাণী এবং মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর ৬২৩২ টি হাদিসের সংকলনও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। এ সবের পরেও তাঁর ব্যতিক্রমধর্মী লেখনীর মধ্যে রয়েছে ছয়টি উপন্যাসও। “অভাগার স্বর্গ” তিন খন্ডের সুবৃহৎ উপন্যাসটি তাঁর মধ্যে অন্যতম। এই গ্রন্থটির প্রথম খন্ডে ১৭৬০ সালের নীলচাষ থেকে শুরু করে ২০০০ সাল পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের বিষয় কথা প্রসঙ্গে বিভিন্ন চরিত্রের মধ্য দিয়ে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন অতি সুনিপুণভাবে। এছাড়া “ব্যথিত হৃদয়,অব্যক্ত বেদনা,প্রেমের পরিণতি” ইত্যাদি উপন্যাসও বাস্তব জীবনের সত্য ঘটনা অবলম্বনে লিখিত।

বর্তমানে তাঁর সবচেয়ে দিকনির্দেশনামূলক অতীব গুরুত্বপূর্ণ যে গ্রন্থগুলোর কথা না বললেই নয় তাহলো তাঁর রচিত কম্পিলিট দর্শন গ্রন্থসমগ্র আট খন্ড। এর প্রথম খন্ডটি বিশ্বসাহিত্য ভবন থেকে ২০২২ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় যার নাম “ভববাদী দর্শন” (একটি মৌলিক দর্শন গ্রন্থ)। একই বইমেলায় এ বইটির ব্যাখ্যাস্বরুপ বাঙালী প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয় “সমস্যা সমাধানে দর্শনের ভূমিকা” নামক গুরুত্বপূর্ণ বইটি। বিশেষ করে দর্শনের মূল ছয়টি শাখা তথা “ধর্ম (জীবনবিধান)দর্শন,রাজনৈতিক দর্শন,অর্থনৈতিক দর্শন,আইন দর্শন,ভাষা ও সাংস্কৃতিক দর্শন এবং সমাজ ও আত্মদর্শন” গ্রন্থগুলোও প্রকৃতপক্ষেই অতীব প্রয়োজনীয় ছয়টি সুবৃহৎ গ্রন্থ যা মানব জাতীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শুধু তাই নয়,”বর্তমান বিশ্বে শয়তানের কীর্তিকলাপ” শিরোনামে রচিত চার খন্ড গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ গ্রন্থও তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি। এ গ্রন্থগুলোতেও তিনি বিগত ইতিহাস খুঁড়ে অসাধারণ সব তথ্যবহুল মণি-মুক্তার সমারোহ ঘটিয়েছেন। এ পুস্তকগুলোর ভেতরে পৃথিবীতে চলমান সমস্যাগুলোর নেপথ্যের সমুদয় বিষয় স্পষ্ট করে ফুটিয়ে তুলেছেন গবেষক আপন মনের মাধুর্য্য মিশিয়ে। এ ধরণের আরও কিছু তাঁর রচিত গ্রন্থ হলো “ইলূমিনিয়াতির বিরুদ্ধে ইমাম হোসেন (আঃ),ইহূদীদের নেপথ্যের গোপণ ইতিহাস,বর্তমান বিশ্বে নারীদের অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম,বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইহূদীদের আধিপত্য,বিশ্ব রাজনীতিতে দক্ষিণ এশিয়ার অবস্থা এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ,শেষ যামানায় হযরত ঈসা মাসীহ ওরফে যীশুখ্রীস্ট (আঃ)-এর আত্মপ্রকাশ,স্বাধীনতা কি ও কেনো এবং তা রক্ষা করার উপায়”। সেই সাথে তিনি বিশটিরও অধিক নাটক রচনা করেছেন যা সমৃদ্ধ ডায়ালগে ভরপুর। আর আর্ট ফিল্মের স্ক্রিপ্ট তো আছেই। মূলতঃ ভবিষ্যতে তিনি নিজেকে একজন আর্ট ফিল্ম নির্মাতা হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করার বাসনা পোষণ করেন।


তাঁর অর্জিত পুরস্কার ও সম্মাননা

দেশীঃ

১) নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধূরাণী স্মৃতিপদক-২০২০(কবিতায়)

২) কবি জীবনানন্দ দাশ স্মৃতিপদক-২০২১ (গবেষণায়)

৩) বিজয় কেতন সম্মাননা-২০২১ (শিশু সাহিত্যে)।

৪) করোনা যোদ্ধা সম্মাননা-২০২১।

৫) স্বাধীনতা সম্মাননা-২০২২(আধুনিক সনেট কবিতায়)।

৬) বাংলা সাহিত্য উৎসব সম্মাননা-২০২২ (প্রহসন কাব্যে)

৭)অ্যাওয়ার্ড অব ফ্রীডম-২০২২ (ছোটগল্পে)

৮) মাদক বিরোধী অ্যাওয়ার্ড-২০২২।

৯) মাদার তেরেসা মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড-২০২২ (স্বাস্থ্য সেবায়)

১০) কবি নজরুল কাব্য পুরস্কার-২০২২ (কবিতায়)।

৯) প্রদীপ্ত সাহিত্যাসর সম্মাননা-২০২৩ (রোমান্টিক কবিতায়)।

১২) শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর স্মৃতিপদক-২০২৩(দর্শনে)।

আন্তর্জাতিক পুরস্কারঃ

১) মহাত্মা গান্ধী গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড-২০২২ (সনেট মহাকাব্যে)।

২) নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ইন্টারন্যাশনাল পীস এ্যাওয়ার্ড-২০২২ (আধুনিক সনেট কবিতায়)

৩) বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পীস এ্যাওয়ার্ড-২০২৩ (বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং সংস্কৃতি ও সভ্যতা বিষয়ক গবেষণায়)।

৪) নেপাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এ্যওয়ার্ড-২০২৩ (দর্শন ও গবেষণায়)।কাঠমুন্ডু,নেপাল।

৫) কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল পীস এ্যাওয়ার্ড-২০২৩ (কথা সাহিত্যে)। বিশ্বভারতী,জোড়াসাঁকো,কলকাতা।